কুবিতে ‘জুলাই অভ্যুত্থান: গণতান্ত্রিক বিকাশে ছাত্র-জনতার ভূমিকা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

Site Favicon প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০২৫ ১৯:২১
A+A-
Reset

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘জুলাই অভ্যুত্থান: গণতান্ত্রিক বিকাশে ছাত্র-জনতার ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মামুন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সকাল ১১ টার দিকে এই সেমিনার শুরু হয়ে দুপুর দেড়টায় শেষ হয়।

ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড মাসুদা কামাল। অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন। সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহ  ।

সেমিনারে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুবশক্তির ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুবগোষ্ঠীর ভূমিকা, সামাজিক  পরিবর্তনে যুবশক্তির ভূমিকা, ডিজিটাল নাগরিক, উদ্ভাবন ও সংস্কৃতির বিকাশে যুবশক্তির ভূমিকা এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক সম্পৃক্ততায় যুবশক্তির ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন।

Top Selling Multipurpose WP Theme

এছাড়াও আরেক বক্তা অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন সমাজের ও দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি আমাদের দায় ও দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘জুলাইয়ের আগে আমাদের যে অখণ্ড ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই আমাদের বিপ্লবটা সম্ভব হয়েছিল। সেটি সাময়িক সময়ের জন্য স্থায়ী হয়েছিল তবে এখন ওই ঐক্যটায় ফাটল ধরেছে, অখণ্ড শক্তি হিসেবে স্থায়ী হয়নি। যা একটি অশনিসংকেত দেশের জন্য। আজকের যে বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে তা গণতান্ত্রিক বিকাশের জন্য। এই গণতান্ত্রিক বিকাশের জন্য যে দুটি দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে তা একটি হলো মূল্যবোধগত এবং অন্যটি সার্বিক দিক।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, ‘এই আন্দোলন ছিল একটা স্বৈরাচার বনাম সারা দেশ। সারা জাতি একত্রিত হয়েছিলো এই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে। এমন সন্ধিক্ষণ পৃথিবীতে খুব কমই হয়। এই আন্দোলনে প্রাইমারির শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রিকশাচালক, দিনমজুর সবাই অংশগ্রহণ করেছিলো তাদের নিজেদের অন্তরের একটা আকাঙ্ক্ষা থেকে যা ছিল মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে একজন স্বৈরশাসকের পতন ঘটলেও বিগত ১৬/১৭ বছরে তারা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে শিকড় বিস্তার করে ছিল তা উপড়ে ফেলা সম্ভব হয়নি।এ কারণেই স্বৈরাচার পতনের ১ বছর পরেও আমরা তেমন কোনো সুফল দেখতে পাচ্ছি না।’

আপনার পছন্দ হতে পারে