দীর্ঘ ৪ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুলতান আহমেদ রাহী। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সঙ্গীত বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সর্দার জহুরুল ইসলাম। তাঁদের কারও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ১১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শাকিলুর রহমান সোহাগ, সহ-সভাপতি ভুগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ২০১২-১৩ বর্ষের মেহেদী হাসান, আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের সাবিহা আলম মুন্নি, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের জান্নাতুন নাঈম তুহিনা। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১২-১৩ বর্ষের শফিকুল ইসলাম শফিক , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফারসি বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের তাহের রহমান ও সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের জাহিন বিশ্বাস এষা। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের মাহমুদুল ইসলাম মিঠু এবং দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের নাফিউল জীবন।
কমিটিতে বিভিন্ন পদে থাকা ১১ নেতার ৬ জনেরই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই। তারা কেউ কেউ বিভিন্ন শর্ট কোর্সে ভর্তি রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, সবশেষ ২০২১ সালের ১৬ জুলাই সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। নতুন সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী আগের কমিটিতে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের কারও নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই। রাহীর দাবি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যাকালীন মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি আছেন। আর সর্দার জহুরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজের ভাষা শিক্ষার শর্ট কোর্সে ভর্তি আছেন।
সান্ধ্য কালীন এবং ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী বলে যাবে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা-১ এর উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯ টি বিভাগ এবং দুইটি ইন্সটিটিউটে অনার্স এবং মাস্টার্স চলমান শিক্ষার্থীর বাইরে কেউকে নিয়মিত শিক্ষার্থী বলার সুযোগ নেই। আমাদের এখানে যারা সান্ধ্য কালীন বা ভাষা শিক্ষার কোর্স করে থাকেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী মতো মেডিকেল, হল, বাস বা কনভোকেশন সুযোগ পায়না। ফলে তাদের কোনোভাবেই নিয়মিত শিক্ষার্থী বলার সুযোগ নেই।
এ দিকে নবগঠিত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের ভেতর পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ১৫ দিনের ভেতর হল কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলো। সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সকল হল কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হলো। হল কমিটি গঠনের পর সম্মেলনের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত হবে।’
রাবি/মাইনুল ইসলাম রাজু