সম্প্রতি ছেলের মামলার বিষয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী রিনা খান। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দাবি করে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের মাধ্যমে সেই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এক ভিডিও বার্তায় রিনা খান বলেছিলেন, ‘আমি বিএনপি করি বিধায় আমার ছেলে ২০০৯ সালে জার্মান গেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে।
রিনা খানের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানির কারণ নাকি তারা পুরো পরিবার বিএনপি করেন। এমনটাই জানিয়ে রিনা খান বললেন, ‘দেখেন আমাদের পুরো পরিবার বিএনপি করেন। আমার মা-বাবা, ভাই সবাই বিএনপি করেন। তাছাড়া বিএনপির সময় আমি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম।
রিনা খান মূলত ময়দান থেকেই পর্দায় এসেছেন। নিজের অভিনয়ে আসার বিষয়টি অনেকটাই কাকতালীয় ছিল। এমনটাই জানিয়ে এই খল অভিনেত্রী বললেন, ‘মনে হয় ১৯৮১ সালের কথা, একদিন স্টেডিয়ামে নির্মাতা সুভাষ দত্ত এলেন। তখন আমি নিয়মিত সাইক্লিং করি। তাঁর সিনেমায় বাজাজ চালাতে হবে- এমন একজন মেয়ে দরকার। সেই মেয়ে খুঁজতেই স্টেডিয়ামে তাঁর আগমন। তিনি আমাকে দেখে ডাকলেন। এরপরই সেই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলেন। আমি সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলাম। মাত্র মেট্রিক পাশ করেছি। সেই অবস্থাতেই আমি অভিনয়ে নেমে পড়লাম। করলাম প্রথম সিনেমা সোহাগ মিলন। এরপর একে একে চলচ্চিত্রের মানুষই হয়ে গেলাম। সেই থেকে আমাকে সবাই রিনা খান হিসেবেই চেনে। মাঝখানে অনেকদিন অভিনয় বন্ধ রেখেছিলাম। কেননা অশ্লীলতা সিনেমায় ঢুকে পড়েছিল। সেসময় নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
রিনা খান এখন চলচ্চিত্রে খুবই কম অভিনয় করেন। এই অভিনেত্রী এখন মনোযোগ দিয়েছেন নাটকে। শুধু অভিনয় নয়, নাটকে প্রযোজনাও করছেন। নিজেই বানাচ্ছেন নাটক। এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠকে বললেন, ‘আমি নিজেই একটি নাটকের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলেছি। আমার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। এটা ৩ মাস হলো। আমি নিজেই নাটক বানাই, সেই চ্যানেলে নাটক রিলিজ দেই। আজকেও একটা নাটকের শুটিং ছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে প্যাকড আপ করতে বাধ্য হলাম।’