হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ডিপ্লোমাধারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই ) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে পুনরায় প্রধান ফটকে ফিরে আসে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন যেমন স্বাধীন এই বাংলায় কোটাপ্রথার ঠাঁই নাই, তুমি কে আমি কে প্রকৌশলী প্রকৌশলী ইত্যাদি।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে এ ধরনের বৈষম্য তারা মেনে নিতে পারেন না। নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে তারা বলেন, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে সকলকে মূল্যায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবির কথা তুলে ধরেন:
১. অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার(নবম গ্রড) পদে নিয়োগ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে হতে হবে, কোনো প্রমোশনাল কোটা থাকবে না।
২. সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার(দশম গ্রেড) পদের জন্য সকল ধরনের ডিপ্লোমা কোটা বাতিল করে এই পদটি সকল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩. বি এস সি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না।
ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকৌশল আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ফাহিম আহমেদ (রুয়েট থেকে আগত) বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি আজকে এই বৃষ্টির দিনে হাবিপ্রবিতে গণজাগরণ তৈরি হয়েছে। আপনারা জানেন দীর্ঘদিন ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কোটা বিরাজমান আছে। আমরা আশা করছিলাম ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, তারপর এই কোটা ব্যবস্থা বিলুপ্ত হবে। কিন্তু সকল জায়গা থেকে কোটা বিলুপ্ত হলেও প্রকৌশল বিভাগ এখনো কোটায় জর্জরিত। আপনারা জানেন প্রকৌশলীদের দুটি পোস্ট, নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী এবং দশম গ্রেড উপসহকারী প্রকৌশলী কিন্তু দুঃখের বিষয় দশম গ্রেডের উপসহকারী প্রকৌশলীর পদ ডিপ্লোমা ধারীরা দখল করে আছে। শুধু তাই নয় নবম গ্রেডে প্রমোশনাল কোটার মাধ্যমে কোথাও ৩৩% কথা ৫০ পার্সেন্ট কোথাও বা ১০০% কোটা নিয়ে নবম গ্রেড ও দখল করে ফেলতেছে।এতে আমরা যারা বিএসসি ডিগ্রিধারী তারা অনেক অনেক বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমাদের দাবি একটাই আমরা এসব সকল বৈষম্যের অবসান চাচ্ছি। এজন্য তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে আহবান জানাচ্ছি।
হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাশিম ইসরাক(মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং -২০) বলেন, আমরা আজকে উপস্থিত হয়েছি বৃষ্টির মাঝে সেখানে কোন কিছুই আমাদেরকে উপেক্ষা করতে পারবে না। দেশের ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের পর্যাপ্ত মর্যাদা দেওয়া না হলে দেশের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাবে। আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা যথার্থ মর্যাদা পাচ্ছে না ফলে দেশে তারা তাদের অবদান রাখতে পারছেন না।বরাবরই আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা চাই আমাদের যথার্থ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
হাবিপ্রবি/সাগর চন্দ্র