পুরান ঢাকায় চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতা কর্তৃক ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ডায়না চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সমাবেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিরুল কবির সৌরভ বলেন, আমরা তাদের মুখে বারবার শুনি নির্বাচন না দিলে নাকি দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ঠিক হবে না। কিন্তু আমরা এটাও দেখতে পাই যে নির্বাচন না হওয়ার কারণে ওই সংগঠনটি সবচেয়ে বেশি খুনের রাজনীতি করতেছে, এই খুনের রাজনীতি তারাই কায়েম করতে চায় আর তারাই বলতেছে নির্বাচন চাই। আমরা দেখতে পাই গত ১৭ টি বছর একটি সরকার স্বৈরাচার কিভাবে কায়েম করেছিল, কিভাবে একটা সরকার মিডিয়াকে কন্ট্রোল করেছিলে, আমারা আজকে দেখতে পেরেছি যে আজ ১১ জুলাই কিভাবে একটা ব্যবসায়ী ভাইকে চাঁদা এরজন্য কিভাবে নৃশংস নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কুবিতেও বিক্ষোভ:
এদিকে রাত সাড়ে আটটার দিকে একই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোয়াইব হোসেন আল-আমিন বলেন, ‘আমরা কখনো এই দেশকে চাঁদাবাজের হাতে তুলে দিতে পারবো না। বিএনপি যদি এখন থেকে এই চাঁদাবাজদের থামাতে না পারে তবে বাংলার তরুণ সমাজ এদের সম্মুখ জবাব দিবে। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারকে দূর করেছি যাতে এই অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি না হয়। এখন তারা যদি এর পুনরাবৃত্তি করে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ স্বৈরাচারী হাসিনার মতো তাদেরকেও জবাব দিবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগর শাখার সদস্য সচিব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে হত্যার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যারা এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তারা স্পষ্টভাবে হাসিনার পথেই হাঁটছে। ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে প্রশাসন ও আইনে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যারা ক্ষমতার স্বাদ নিতে শুরু করেছে, জনগণ আর কখনো তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে না।’
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ডে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়।