সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একদল উঠতি বয়সি তরুণদের কান ধরে উঠবস করিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাদেরকে ব্যাঙের মতো করে লাফালাফি করতেও দেখা গেছে।
জানা গেলো, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নাকি তাদেরকে শাস্তি দিয়েছেন। তাদের অপরাধ ছিলো, তারা বহিরাগত হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে।
এখানে দুটো বিষয়-এক. তারা বহিরাগত হওয়ায় যদি প্রশাসন এমন শাস্তি দিয়ে থাকেন তাহলে আগে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। যদিও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বহিরাগত আখ্যা দিয়ে কাউকে প্রবেশে নিষিদ্ধ করতে পারেন কি না সেটাও একটি প্রশ্ন থেকে যায়। যদি ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধই থাকে তাহলে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলো কিভাবে? নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তখন কোথায় ছিলেন? সেটার দায় কি তারা এড়াতে পারেন?
দুই. এসব উঠতি বয়সি তরুণরা যদি অপরাধ করেও থাকে তারপরও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এভাবে শাস্তি দেওয়ার অধিকার কি রাখেন?
তারা এসব তরুণদের অভিভাবকদের ডেকে তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারতেন। যদি অপরাধের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে তাহলে আইনী ব্যবস্থাও নিতে পারতেন। কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে সহজ পন্থা মনে হয়েছে তাদের কান ধরে উঠবস করিয়ে, ব্যাঙ লাফ করিয়ে এবং শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া!
এসব তরুণদের শাস্তি দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের মানসিকভাবে যে হেনস্তা করেছে কর্মকর্তারা সেটা খুবই লজ্জাজনক। আগামীতে প্রশাসন এদিকটা নজর রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা রাখতে চাই।