হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) প্রমোশনপ্রাপ্ত অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসরদের নতুন স্কেলে বেতন ফিক্সেশন সম্পন্ন হলেও তারা এখনো সেই অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না। ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের এই শিক্ষকরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী একজন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর জানান, “আমাদের রিজেন্ট বোর্ড হয় ২৯ জুন, সেদিন থেকেই ৬ষ্ঠ গ্রেডে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার কথা। ৩ জুলাই চিঠি ইস্যু হয় এবং আমরা ফিক্সেশন কাগজপত্র জমা দেই। কিন্তু একাউন্টস বিভাগ পুরনো স্কেলে বেতন শিট পাঠায়। আমরা অধিকাংশই সেটা নিতে অস্বীকৃতি জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আন্দোলন করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। অথচ কর্মকর্তারা নিজেদের বেতন-ভাতা নিতে আন্দোলন স্থগিত করে আবার আন্দোলনে নামেন। আমাদের পরিবার আছে—বাবা-মা, ছোট ভাই-বোন, বাসা ভাড়া, দোকানে বাকী, স্কুলের খরচ, ঔষধ কেনা—সবকিছুতেই চাপ পড়ছে।”
শিক্ষকদের অভিযোগ, একাউন্টস বিভাগ ও প্রশাসনের গড়িমসির কারণে তারা ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রমোশন কার্যকর হলেও অর্থনৈতিক সুবিধা না পাওয়ায় তাদের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে অ্যাকাউন্টস শাখার সহকারী পরিচালক এস. এম আবদুল আলিম জানান, আমাদের কর্মবিরতি চলছে। শিক্ষকদের বেতন এবং ফিক্সেসনেরও কাজ চলছে একটু সময় লাগবে।
অ্যাকাউন্টস শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. ইরফান আলী খোন্দকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
ভুক্তভোগীরা দ্রুত বেতন ফিক্সেশন কার্যকর করে নতুন স্কেলে বেতন প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মানবিক দিক বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
হাবিপ্রবি/সাগর চন্দ্র