কুবির নজরুল হল থেকে গাঁজা ও ব্যবহৃত বুলেট উদ্ধার,  রুম সিলগালা

Site Favicon প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৩
A+A-
Reset

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের ৩০৭ নং রুম থেকে গাঁজা ও ব্যবহৃত বুলেট উদ্ধার করেছে হল প্রভোস্ট। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করেছেন বলে নিশ্চিত করেন হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মোঃ হারুন।

হল প্রভোস্টের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে হলের বিভিন্ন রুমে গিয়ে তল্লাশি চালান। এমন সময় ৩০৭ নং রুমের জানালার পাশে মাদক এবং রুমে ব্যবহৃত বুলেট পেয়েছেন। অভিযানের সময় ওই রুমে ৩ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করেছিল। অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাকিং বিভাগের এমবিএ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সবুজ মিঞা ও রবিন আউয়াল রবিন এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এমবিএ একই বর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদ উদ্দিন আহমেদ।

জানা যায়, সবুজ মিঞা নজরুল হলে বহিরাগত এবং সে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে আবাসিক শিক্ষার্থী।

Top Selling Multipurpose WP Theme

তার ব্যাপারে নজরুল হলের প্রভোস্ট মোঃ হারুন বলেন, ‘সবুজ মিঞা যেহেতু আমাদের হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না। তার বিরুদ্ধে এখন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না। তবে, আমি তার হলের প্রভোস্টকে বিষয়টি জানাব।’

এবিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট মোঃ জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘এব্যাপারে এখনো আমাকে কেউ কিছু অবগত করেননি।’

এদিকে সাঈদ উদ্দিন আহমেদকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে প্রক্টোরিয়াল বডি। এরপর গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, একবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ও আবাসিক হলে অবস্থানের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কীভাবে তিনি হলে অবস্থান করছেন- এমন প্রশ্নে প্রভোস্ট জানান, ‘ওই রুমে যারা থাকে তাদেরকে আমার কড়া নির্দেশনা ছিল আনাস যাতে ওই রুমে থাকতে না পারে। তালাও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারা আমার চক্ষু ফাঁকি দিয়ে আদেশ অমান্য করে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে ওই রুমে রাখছে। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

Top Selling Multipurpose WP Theme

এই ঘটনার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। প্রাথমিকভাবে যে রুম থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে সে রুম সিলগালা করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডকে বিষয়টা অবগত করেছি। শৃঙ্খলা বোর্ড এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।’

সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অভিযুক্তদের ডোপ টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। তবে, এগুলো হলের বিষয় হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে। আর হল প্রশাসন শৃঙ্খলা বোর্ডে পাঠালে তখন তারা সিদ্ধান্ত নিবেন।’

আপনার পছন্দ হতে পারে