যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগে ভাইভা বোর্ডে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০০১-০২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আজমল হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আজমল হোসেন বলেন, তিনি ২০০১-০২ সেশনে ফারসি বিভাগে ভর্তি হন এবং ২০০৫ সালে অনার্স ও ২০০৬ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে শিক্ষক নিয়োগে তৎকালীন উপাচার্য আব্দুস সোবহান স্যার এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলকে শর্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন, যা আমার প্রতি অবিচার ছিল। আমি সে বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করি এবং কোর্ট থেকে নির্দেশনাও পাই। এরপর নতুন প্রশাসন যখন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়, তখন বলা হয় পূর্বের আবেদনকারীদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞপ্তিতে অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম থেকে সপ্তম মেধাক্রমের প্রার্থীদের যোগ্য বলা হয়—সেই শর্ত আমি পূরণ করলেও আমাকে ভাইবা কার্ড দেওয়া হয়নি।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কোন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আমাকে ভাইবা থেকে বাদ দেওয়া হলো? আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈষম্য করবে না, কিন্তু আমি এখন বৈষম্যের শিকার। আমার প্রাপ্য অধিকার থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি। আমি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ বলেন, ‘আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আজমল হোসেন প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে পারেননি। সে কারণে তার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি। পরে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বে যারা আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যেহেতু পূর্বে তার আবেদন বাতিল হয়েছিল, তাই সেটি গৃহীত হয়নি। এছাড়া নতুন আবেদনে শর্ত পূরণ করলেও তিনি আবেদন করেননি, তাই ভাইভায় ডাক পাননি।’
রাবি/মাইনুল ইসলাম রাজু