পরীক্ষায় নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

Site Favicon প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১৬:০৭
A+A-
Reset

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষ এবং ২০২০ সালের ডিগ্রি প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় নকলসহ নানা অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ৮২ জন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় পরীক্ষক, পর্যবেক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের রিপোর্ট এবং বোর্ডের সংগ্রহ করা আলামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রকাশিত একটি স্মারকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, অনুষদের ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রার ও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন। সভায় ৮২ জন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর জবাবপত্র, লিখিত কৈফিয়ত ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সর্বসম্মতভাবে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ জন শিক্ষার্থীকে ‘ক’ ধারায় চলতি বছরের সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আরও ৫ জনের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে ‘গ’ ধারায়। ৩৫ জনকে ‘ম’ ধারায় পুরো বছরের পরীক্ষায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ২৬ জনকে ‘এ’ ধারায় এই বছরের পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি পরবর্তী এক বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯ জনকে ‘অ’ ধারায় এবং ৮ জনকে ‘ও’ ধারায় পরবর্তী তিন বছর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুতর শাস্তি পেয়েছেন ২ জন শিক্ষার্থী, যাদের ছয় বছরের জন্য পরীক্ষায় বসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘দ’ ধারায়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, এসব শাস্তি মূলত বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় নির্ধারিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ‘ক-ঘ’ ধারায় কেবল চলতি বছরের পরীক্ষা বাতিল হয়। ‘৩-এ৪’ ধারায় এক বছর, ‘ট-২’ ধারায় দুই বছর, ‘ড-৭’ ধারায় তিন বছর এবং ‘ত-ধ’ ধারায় চার বছরের জন্য পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ হয়। ‘ন’ ধারায় শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ করে শৃঙ্খলা কমিটি।

Top Selling Multipurpose WP Theme

আপনার পছন্দ হতে পারে